বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে কর্তৃপক্ষের অবশ্যই দায় আছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ মার্চ, ২০২৪ ১৭:১১

মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখানে অবশ্যই অসচেতনতা ছিল, অবহেলা ছিল। এত বড় একটি বাণিজ্যিক ভবনে ফায়ার এক্সিট থাকবে না? আর এটা না থাকার কারণে মানুষ পাগলের মতো ছুটাছুটি করেও বের হতে পারেনি।’

‘সাততলা ভবনের একটি মাত্র সিঁড়ি, কোনো ফায়ার এক্সিটও নেই। একমাত্র সিঁড়িটিও আবার গ্যাস সিলিন্ডারে পরিপূর্ণ ছিল। ভয়ঙ্কর ব্যাপার! এরকম একটা অবস্থায় আপনি কিভাবে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা করবেন। এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অবশ্যই দায় আছে। বিশেষ করে সেখানে ফাস্ট সেফটি নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব ছিল।’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।

কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এতগুলো মানুষ এখানে মারা গেছে। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছুই হতে পারে না। আমরা বার বার একই ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। ঘটনা ঘটার পর পরিস্থিতি কিছুদিন উত্তপ্ত থাকে, তারপর আবার আগের মতোই হয়ে যায়।’

মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত বছরের ৪ জুন আমরা একটি জাতীয় সেমিনার করি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে। সেখানে আমরা নিমতলীর ঘটনা, চুরিহাট্টার ঘটনা, বঙ্গবাজারের ঘটনা, নিউমার্কেটের ঘটনাসহ সব বড় বড় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে পর্যালোচনা করি। সেখানে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করি। কিন্তু সেসব সুপারিশের আলোকে আজ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি এখানে রেস্টুরেন্টে পার্টি হচ্ছিল। কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ২০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেয়া হয়েছিল। সে কারণে মানুষের সংখ্যাও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু তারা আর জীবন নিয়ে ফিরতে পারলেন না।

‘জাতীয়ভাবেই আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা কেউ এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সচেতন হচ্ছি না। কর্তৃপক্ষকে এখন বাধ্য করতে হবে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখানে অবশ্যই অসচেতনতা ছিল, অবহেলা ছিল। এত বড় একটি বাণিজ্যিক ভবনে ফায়ার এক্সিট থাকবে না? আর এটা না থাকার কারণে মানুষ পাগলের মতো ছুটাছুটি করেও বের হতে পারেনি।’

কর্তৃপক্ষের অবহেলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কামাল উদ্দিন বলেন, ‘দেখুন, এখনও পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গোডাউন সরেনি। কাদের দায়িত্ব এটা সরানোর? ফায়ার সার্ভিস সরানোর জন্য একের পর এক নোটিশ করবে আর এগুলো সরবে না- এটা তো হতে পারে না।’

এই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতকিছুর পরও যদি কর্তৃপক্ষের টনক না নড়ে তাহলে তো আর কিছু বলার নেই।’

উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে কি টনক নড়েছে? নিমতলীতে ১২৪ জন মরার পর কী হয়েছে? কিছুই হয়নি। নিমতলীর পর চুরিহাট্টার ঘটনা ঘটেছে। আবার বনানীতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৪৮ জন মারা গেছে। এভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এখানে ৪৬ জন মারা গেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আমি শুনেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরকম ঘটনা ঘটতে থাকা মানে হলো আমরা অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগে বসবাস করছি। এই অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আলোর দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর