রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মেহেদী হাসানের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
বৃহস্পতিবার রাতে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে আগুনে যে ৪৬ জনের প্রাণ গেছে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের আয়নাল মিয়ার ছেলে মেহেদীও একজন। তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে।
শুক্রবার তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চলছে শোকের মাতম। মেহেদীর মা ও বোন বার বারই মুর্ছা যাচ্ছেন। মৃত্যু এলাকাবাসীও মেনে নিতে পারছে না। ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায় বাবা আয়নাল মিয়া।
মেহেদীর বোন সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই বৃহস্পতিবার ফোন দিয়ে বলছে- তুমি বাবার বাড়ি যাও আমি আসবো। আমার সেই ভাই তো আর এলো না। আমার ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি করতো। আমার ভাইয়ের আয় দিয়ে সংসার চলতো, মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পেতো, আজকে আসার কথা ছিল আর আসলো না আমার ভাই।’
বাবা আয়নাল মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেকে হারিয়ে সব শেষ হয়ে গেল, আমার পোলাডা মইরা গেল, আমার আর কিছুই রইলো না।’
স্থানীয় নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মেহেদী খুব ভালো ছেলে ছিল,অকাল মৃত্যুতে এলাকাবাসী খুবই শোকাহত।’
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, ‘মেহেদীর পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন সব সময় থাকবে। এই পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।’