নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে দগ্ধ পাঁচ শিশুর সবারই মৃত্যু হলো।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ চমেক (চমেক) হাসপাতালে বুধবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়।
বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সর্বশেষ প্রাণ হারানো শিশুটি তিন বছর বয়সী রুশমিদা। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর শুক্কুরের মেয়ে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৫২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, এ নিয়ে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ দুজন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন ২২ বছর বয়সী জোবায়দা ও ২৪ বছর বয়সী আমেনা খাতুন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ নয়জনের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবারই শ্বাসনালি দগ্ধ হয়।
হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে শনিবার সকালে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠালে পাঁচ শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।