বাগেরহাটের চিতালমারীতে হাত-পা ও মুখ বেঁধে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার হিজলা গ্রামের একটি ঘর থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিহাব শেখ নামের শিশুটিকে হত্যার ঘটনায় ১৭ বছর বয়েসের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ওই কিশোরের ঘর থেকে শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শিহাবের মা সুমি আক্তার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চিতলমারী থানায় একটি মামলা করেছেন।
শিহাব শেখ চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামে শিশু শিহাবের বাবা, নানা ও ঘাতক কিশোর বসবাস করে। বুধবার শিশু শিহাব তার নানা মানু শিকদারের বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এসময় শিহাব ওই কিশোরের বাড়ির উঠানে গেলে সে শিহাবের পরনের প্যান্ট খুলে ফেলে এবং কাপড় দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। মুখ বাঁধার ফলে শিশুটির শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
রাসেলুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত কিশোরের নানাবাড়ি থেকে তাকে আটক করে। আটক কিশোরের ঘর থেকে শিশুটির পরনের প্যান্ট ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিশুটিকে কেন সে হত্যা করল তা জানার জন্য আটক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে শিশুটিকে অভিযুক্ত কিশোর যৌন নির্যাতন করতে চেয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ছাড়া ঘটনার অন্য কোনো কারণ আছে কি না জানতে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।