চট্টগ্রামে কলেজ ছাত্র ও ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়া হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ক্যামেরা ছিনতাই করতেই তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিয়ে অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফি করতেন শাওন।
শাওন হত্যার ঘটনায় পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। তারা হল- ইমন, তৌহিদ, বাহার, আলমগীর ও মুরাদ।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে ছিনতাইকারীরা বিয়ে অনুষ্ঠানের কথা বলে শাওনকে বেপারিপাড়ার ভাঙা পুলের মাথায় আসতে বলে। সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ইমন, তৌহিদ ও চালক আলমগীর অপেক্ষা করতে থাকে। আর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাহির সিগন্যাল ম্যাফ সুজ গার্মেন্টসের সামনে থেকে শাওন বড়ুয়াকে রিসিভ করে নিয়ে যায় মুরাদ।
মুরাদ সিএনজিচালিত অটোরিকশার দিকে না গিয়ে অন্যদিকে চলে যেতে থাকে। বিষয়টি শাওন আঁচ করতে পারলে মোটরসাইকেলের মধ্যেই দুজনের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মুরাদ শাওনের উরুতে ছুরিকাঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আর সেই ফাঁকে মুরাদ শাওনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাত বার ছুরিকাঘাত করে।
মুরাদ পরে মোবাইল ফোনে বাহারকে বলে, ‘ভাই, আমি শাওনকে মেরে ফেলেছি।’
তখন বাহার এসে ক্যামেরাসহ মুরাদকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে রেখে যায় শাওনের মোবাইল ফোনটি। সেই ফোনের সূত্র ধরে ওই পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চান্দগাঁও থানার এসআই ফয়সাল আজিজ, সোহেল রহমান রানা ও রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
পুলিশের এই তিন কর্মকর্তা জানান, শাওন বড়ুয়ার ডিজিটাল ক্যামেরা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘শাওন বড়ুয়া হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। মূলত ক্যামেরা ছিনতাই করতেই তাকে খুন করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে চান্দগাঁও থানার অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে শাওন বড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শাওন সাতকানিয়া উপজেলার বাজারিয়া ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামের দীপু বড়ুয়ার ছেলে। তিনি নগরীর নাসিরাবাদে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কাজ করতেন।