সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্যালাইনের তৈরি শরবত খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তিন বছর বয়সী জিম খাতুনকে সোমবার সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে দোকানদার আমিনুল ইসলাম, স্যালাইনের সেলসম্যান আনিছুর রহমান, হাফিজ শেখ ও সাগর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় শবে বরাতের নফল রোজা রেখে ইফতারিতে ওরস্যালাইন ও ইস্পি ট্যাংয়ের মিশ্রণ গুলিয়ে পান করেন পারভিন খাতুন। এ সময় তার তিন সন্তান জিম, রিয়া ও মিথিলা ওরস্যালাইন এবং ইস্পি ট্যাংয়ের মিশ্রণের পানি পান করে। ইফতারি শেষে পারভিন ও তার তিন শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ফয়সাল হোসেন জানান, অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের সিরাজগঞ্জে পাঠান। সেখানে যাওয়ার পর শিশুটির মৃত্যু হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য অসুস্থ পারভিন খাতুন, রিয়া ও মিথিলাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিমের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দোকানদারসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল বারিক বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে ওরস্যালাইন ও ইস্পি ট্যাংয়ের খালি প্যাকেট ও মিশ্রণের পানি সংগ্রহ করেছি, তবে এতে ওরস্যালাইনের প্যাকেটের মেয়াদ নেই আর ইস্পি ট্যাংয়ের মেয়াদ স্পষ্ট দেখা যায় না।
‘ধারণা করা যাচ্ছে, ওরস্যালাইনের যেহেতু মেয়াদ নেই এটা থেকেও বিষক্রিয়া হতে পারে, তবে ডাক্তাররা ল্যাব টেস্ট করে রিপোর্ট দিলে সঠিকটা জানা যাবে।’