নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আগুনের ওই ঘটনায় এ নিয়ে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হলো। চিকিৎসাধীন অন্য তিন শিশুসহ চারজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সবশেষ মারা যাওয়া তিন বছর বয়সী মোবাশ্বেরার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শিশুটি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের মেয়ে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে রাসেল নামে চার বছরের এক শিশুকে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানা যায়, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুটি শিশু মারা গেছে।
চিকিৎসাধীন অন্যরা হলো- ২২ বছর বয়সী জোবায়দা, ২৪ বছরের আমেনা খাতুন এবং পাঁচ বছর বয়সী তিন শিশু রোসমিনা, রবি আলম ও সোহেল।
আহতদের মধ্যে রোসমিনার শরীরের ৫০ শতাংশ, রবি আলমের ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুনের ৮ শতাংশ, সোহেলের ৫২ শতাংশ ও জোবায়দার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে আমেনা খাতুন ছাড়া বাকি সবার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।