কখনও জেল সুপার, কখনও পুলিশ কর্মকর্তা, আবার কখনও পরিচয় দিতেন আইনজীবী হিসেবে। নিজেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত দিয়ে ফোন করতেন কারাবন্দি আসামিদের স্বজনদের। বিভিন্ন উপায়ে বন্দিকে মুক্ত করার কথা বলে স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এমন চক্রের হোতাকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পাবনা ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১২ সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড়ের আহাদ মোড় এলাকার ৩০ বছর বয়সী মো. মামুন হোসেন এবং একই এলাকার ২৮ বছর বয়সী মো. ইমরান হোসেন।
এহতেশামুল হক খান জানান, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকার আদালত প্রাঙ্গণে উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করেন আসামিদের আত্মীয়-স্বজনরা। কেউ জামিনের জন্য, আবার কেউ অপেক্ষা করেন কারাগার থেকে হাজিরা দিতে আসা স্বজনদের এক নজর দেখার জন্য। এ ধরনের ব্যক্তিদের টার্গেট করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি প্রতারক চক্র।
তিনি জানান, এরা কখনও জেল সুপার, কখনও জেলা পুলিশ, কখনওবা উকিল পরিচয়ে আসামির আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জামিন ও মামলার নিষ্পত্তির কথা বলে অর্থ আত্মসাত করেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, পাবনা জেলায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রীয় এ চক্রটি। তাদের প্রতারণার স্বীকার হয়ে এক ব্যক্তি র্যাবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তে মাঠে নামে র্যাব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পরিচালিত অভিযানে চক্রের হোতা মো. মামুন ও তার সহযোগী ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি।