বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যানজটে নাকাল বাঁশখালীর এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

  • রহিম সৈকত , আনোয়ারা ও বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)    
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২০:৩৪

সড়কটি খুব বেশি প্রশস্ত না হলেও উভয়পাশ থেকে তাকে চেপে ধরেছে বাজার ও অস্থায়ী দোকানপাট। ফুটপাতও গিয়েছে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলেই। ফলে সংকীর্ণ ওই রাস্তা দিয়েই পথচারী, সাইকেল-মোটরসাইকেল আরোহীসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের।

চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা থেকে অংশ নিয়েছে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী। উপজেলায় ১০টি কেন্দ্রে গিয়ে নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে এসএসসি, দাখিল ও কারিগরির এসব পরীক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষার দিন সকালে কেন্দ্রে পৌঁছানো তাদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

এ অবস্থায় এখন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সব দুশ্চিন্তা কক্সবাজারের এবিসি (আনোয়ারা-বাশঁখালী- চকোরিয়া) সড়কটি ঘিরে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য এই সড়কটিই প্রধান যাতায়তের পথ। জেলার পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার মানুষের জন্যও যোগাযোগের প্রধান সড়কপথ এটি।

সড়কটি খুব বেশি প্রশস্ত না হলেও উভয়পাশ থেকে একে চেপে ধরেছে বাজার ও অস্থায়ী দোকানপাট। ফুটপাতও গিয়েছে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলেই। ফলে সংকীর্ণ ওই রাস্তা দিয়েই পথচারী, সাইকেল-মোটরসাইকেল আরোহীসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের।

এতে সকাল-বিকেল সড়কটিতে চলাচলকারীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। সড়ক দিয়ে দুটি গাড়িও অনেক সময় একে অপরকে ক্রস করতে পারে না। এতে সৃষ্টি হয় যানজট।

রোববার সকালে উপজেলার টাইম বাজার, চাম্বল বাজার, গুনাগরি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সড়কটিতে সারি সারি সিএনজি অটোরিকশা; দূরপাল্লার যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তিন ঘণ্টা আগে বের হয়ে সিএনজি, অটোরিকশা ও টমটমে অসহায়ের মতো বসে আছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।

জানতে চাইলে হতাশা আর ক্ষোভ ঝরে তাদের কণ্ঠে। তারা জানায়, পরীক্ষার দিন সকালে এক ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তায় বসেই পার করতে হয় তাদের। আবার অনেক সময় তার চেয়েও বেশি সময় থাকতে হয় যানজটে। এতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে কেন্দ্রে পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়তে হয় তাদের।

পরীক্ষার্থীরা বলে, সে সময়টা ভীষণ দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে বসে থাকতে হয়। ফলে পরীক্ষার বিষয়ে মনোসংযোগ করতে কষ্ট হয়। পরীক্ষার হলেও এর রেশ থাকে বেশ কিছু সময়।

যেকোনো মূল্যে সন্তানদের এ মানসিক অস্তিরতা থেকে মুক্তি চান অভিভাবকরা। তাদের ভাষ্য, শুধু পরীক্ষার্থী কেন, সকল শ্রেণির মানুষই প্রতিদিন যানজটে নাকাল হচ্ছেন। প্রত্যন্ত এলাকায় এমন যানজট কোনোভাবেই কাম্য নয়।

সড়কের দখলমুক্ত ও প্রশস্ত করে যানজট নিরসনে প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) উত্তম খীসা বলেন, ‘ট্রাফিকের বিষয়টা তো আমাদের হাতে নেই। এগুলো সিভিল প্রশাসন দেখে। তারপরও বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের নজরে আনার চেষ্টা করব।’

চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, আমাদের জনবল সংকট আছে। সীমিত জনবল নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এরপরও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

যানজটপ্রবণ এলাকাগুলোতে ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর