খুলনার কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক ও তার স্ত্রীর নামে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র বৃহস্পতিবার এ মামলা করেন।
মামলায় খাদ্য গুদামের সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ মনিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করেছে দুদক।
দুটি মামলার বিষয় নিশ্চিত করেন বাদী দুদক খুলনার সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শেখ মনিরুল হাসান বর্তমানে বাগেরহাট সদরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত। ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। স্বামীর অবৈধ আয় থেকে স্ত্রী সম্পদ অর্জন করায় দুইজনের নামে মামলা করা হয়েছে।
খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মনিরুল হাসানকে দুটি মামলায় আসামি করা হলেও একটি মামলায় তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে। মনিরুল খুলনা মহানগরের বেনী বাবু রোড এলাকার বাসিন্দা।
একটি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দুদক খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মনিরুল হাসানের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে ২০১৮ সালে। আর ২০১৯ সালে সম্পদ বিবরণী জারি করে। তার জমা দেয়া সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে শেখ মনিরুল হাসানের ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৭০৯ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময়ে তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়ের পরিমাণ ৪৮ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩০ টাকা।
শেখ মনিরুল হাসান জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অপরাধে তার নামে মামলা করা হয়।
অপর মামলাটি করা হয় শেখ মনিরুল হাসান ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের নামে। এ মামলায় তাদের জমা দেয়া সম্পদ অনুসন্ধানকালে স্ত্রী শারমিন আক্তারের ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্থাবর ও ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার ১০৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ১০৭ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শেখ মনিরুল হাসান দায়িত্বশীল সরকারি পদে কর্মরত থেকে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন করে তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের নামে অর্জন দেখিয়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। ফলে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।