বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কনডমসহ বিনা মূল্যের জন্মনিরোধক সামগ্রীর সংকট মেহেরপুরে

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৯:২৫

মাঠ পর্যায়ে কর্মরতরা বলছেন, গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরেই তাদের কাছে এসব সামগ্রীর সংকট রয়েছে।

মেহেরপুরের তিন উপজেলায় কোনো পরিবার পরিকল্পনা অফিসেই দুই মাস ধরে নেই জন্মনিরোধক সামগ্রী কনডম,বড়ি ও ইনজেক্টেবল।অবশ্য ইমপ্লান্ট, আইইউডি ও ডিডিএস খুব অল্প সংখ্যাক রয়েছে এসব উপজেলায়, যা দিয়ে চলবে মাস খানেকের মত।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তঅরা নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে কবে এই সমস্যার সমাধান হবে তা জানেন না তা তারা।

মাঠ পর্যায়ে কর্মরতরা বলছেন, গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরেই তাদের কাছে এসব সামগ্রীর সংকট রয়েছে।

জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের অনেক ওষুধের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্রি নিষিদ্ধ পরিবার পরিকল্পনার এ সব সেবা সামগ্রী কিছুদিন আগেও তারা গোপনে বিক্রি করেছেন। তবে এখন সংকট চলায় তা আর পাওয়া যাচ্ছে না।

গাংনী উপজেলার স্থানীয় জামেলা খাতুন বলেন, আমি বামন্দী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ইনজেকশনের জন্য এসেছিলাম। তারা বললো, তাদের নাকি স্টক শেষ হয়ে গেছে। কবে নাগাদ আসবে তাও বলতে পারছে না।

গৃহিণী সামসুন্নাহার বলেন, আমি প্রায় ১০বছর ধরে সুখী বড়ি সেবন করি। অথচ আজ তিন মাস হবে, ডাক্তার আপা আমাকে তা দিতে পারছে না।

বামন্দী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাসিন্দা দিনমজুর রফাত আলী বলেন, আমার বাড়ির পাশেই হাসপাতাল অথচ এ হাসপাতালে কনডমের জন্য এক মাসে দুবার এসে ঘুরে গেলাম। তারা দিতে পারলো না। আমি বাইরে থেকে কিনলাম। কবে নাগাদ আসবে তা বলতে পারছে না তারা।

বামন্দী ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনার পরিদর্শক স্বপন আলী বলেন, গত চার পাঁচ মাস ধরেই ইউনিয়ন জুড়ে ইনজেকশন, বড়ি ও কনডমের সংকট রয়েছে। তার পরও সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি সর্বদা অবগত করে আসছি। তবে এখনো সংকট কাটেনি। সেবা প্রত্যাশী অনেকেই সেবা নিতে আমাদের কাছে এসে ঘুরে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া বামন্দী ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনার এক অফিস সহকারী বলেন, আমরা গ্রামের বসবাসকারী মানুষের সেবা প্রদান করে থাকি। আমাদের কাছে যদি বড়ি, কনডম আর ইনজেকশন না থাকে। তাহলে আসলে আমাদের সেবা দেয়ার আর তেমন কিছুই থাকে না। প্রতিদিন অনেক সেবা প্রত্যাশী এসে সেবা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যাচ্ছে।

পল্লী চিকিৎসক শিহাবুল বলেন, আমরা এক সময় খুব কম দামে নিরাপদ কনডম ও সুখী বড়ি গোপনে কিনতে পেতাম। আমরা নামমাত্র লাভে বিক্রিও করেছি। কেননা গ্রামের অনেক মা বোন আছে যারা এগুলো বাদে অন্য কিছু ব্যাবহারে সাথে অভ্যস্ত নয়। তাই সরকারি পণ্য বিক্রি অপরাধ জেনেও কাস্টমার ধরে রাখতে এগুলো বিক্রি করেছি। তবে আজ মাস তিনেক হবে এগুলো কেও আমাদের কাছে বিক্রি করতে আসে না। আবার সরকারি হাসপাতালেও এগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কনডম এবং ইনজেক্টেবুল বড়ি আমাদেরও এই পদ্ধতি মাঠ পর্যায়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আশা করি সেন্ট্রাল থেকে প্রসিউর হবে। আমরা ওয়ার হাউজের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে অসলে আসার সাথে সাথে সেটা মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করব। তাহলে আগের মতই সেবা পরিচালিত করতে পারব।’

একই কথা বলেন গাংনী উপজেলা ও মুজিব নগর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার ও সানজিদা আক্তার।

এ বিভাগের আরো খবর