কুমিল্লার কোটবাড়ির লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে ককবরক স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্কুল প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার বানানো হয়। সেখানে বুধবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম, ত্রিপুরা উপজাতি কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও ককবরক মাতৃভাষা স্কুলের সাধারণ সম্পাদক সজিব চন্দ্র ত্রিপুরা।
এ নিয়ে সজিব চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ‘২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ককবরক স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষের উদ্যাগে আমাদের হারিয়ে যাওয়া মাতৃভাষা ককবরক টিকিয়ে রাখতে স্কুলটি গড়ে দেন।’
স্কুলটির শিক্ষক অর্পণা রানী ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা ককবরক ভাষায় কথা বলি। এটা আমাদের মাতৃভাষা। আমরা বাংলাতেও কথা বলি। চর্চার অভাবে আমরা ককবরক ভাষাটি ভুলতে বসেছিলাম।
‘উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হলে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার আমরা ভাষা চর্চা করি স্কুলটিতে। ককবরক ভাষাটি এখন আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারছি। এই অনুভূতি অসাধারণ।’
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম বলেন, ‘সকালে উপজেলার সরকারি অনুষ্ঠান শেষে লালমাই পাহাড়ের পাশে ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। বাংলা ভাষার প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখানে ককবরক স্কুলের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্কুল প্রাঙ্গনে শহীদ মিনার তৈরি করেছে। সেখানে তারা শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
‘স্কুলটিতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। আমি চেষ্টা করব স্কুলটিতে যেন একটি স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা যায়।’