বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভর্তি পরীক্ষার আয়-ব্যয়ের হিসাব সাধারণ শিক্ষকরা জানেন না

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১২:২২

চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যসহ অপর কয়েকজন সুবিধাভোগী শিক্ষক কর্তৃক ক্যাম্পাসে একটি ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও উপপক্ষসমূহের মধ্যকার সংঘর্ষের দায় শিক্ষক সমিতির আন্দোলন কিংবা শিক্ষক সমিতির ওপর চাপানোর প্রচেষ্টা আমাদের হতবাক করেছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষার আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতি।

ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে উপাচার্য ও তার প্রশাসন নজিরবিহীনভাবে ব্যর্থ বলেও অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির নেতারা উল্লিখিত কথা বলেন।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষক সমিতির কর্মসূচিকে ‘একাংশের কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে এ আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ তোলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। একই সঙ্গে একটি ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন উপপক্ষের সংঘর্ষের জন্য শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে দায়ী করেন তিনি।

এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যসহ অপর কয়েকজন সুবিধাভোগী শিক্ষক কর্তৃক ক্যাম্পাসে একটি ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও উপপক্ষসমূহের মধ্যকার সংঘর্ষের দায় শিক্ষক সমিতির আন্দোলন কিংবা শিক্ষক সমিতির ওপর চাপানোর প্রচেষ্টা আমাদের হতবাক করেছে।

‘বিশেষ করে প্রকাশ্যে লাগাতার সংঘর্ষে লিপ্ত একটি ছাত্র সংগঠনের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ না করে তাকে ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষ আখ্যা দিয়ে তার দায় শিক্ষক সমিতির ওপর চাপানোর এই অপচেষ্টা তাদের চরম প্রশাসনিক দেউলিয়াত্বকে প্রমাণ করে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।’

তিনি বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য দাবি করেছেন, আমাদের ২৬ দফা দাবির অধিকাংশ পূরণ হয়েছে। এটা চরম মিথ্যাচার। তিনি মাত্র দুইটা দাবি পূরণ করেছেন। তিনি সেদিন শিক্ষক সমিতির নামে যেসব অভিযোগ তুলেছেন, তা বিভ্রান্তিকর, হঠকারী এবং জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা।’

ওই সময় সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সমিতির উত্থাপিত ২৬ দফা দাবি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে কোন কোন দাবি এখনও পূরণ হয়নি, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির কোটি কোটি টাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যসহ শিক্ষক ও একটি সংগঠনের ভাগাভাগি করে নেয়ার বিষয়টিকে আইনের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘এ অভিযোগের কারণে টাকা ভাগাভাগির দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের ওপরেও এসে পড়েছে। অথচ এসবের সঙ্গে শুধু প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারে। কেননা সাধারণ শিক্ষকরা আয়-ব্যয়ের হিসাবও জানেন না, ভাগ-বাঁটোয়ারার হিসাব তো অনেক দূরের বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ বলছে, ভর্তি পরীক্ষার যে আয়, এর চেয়ে বেশি ব্যয় হয়। আমরা বলেছি যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রয়োজনে আমরা হল পরিদর্শনের যে সম্মানি দেয়া হয়, সেটা আমরা নেব না, কিন্তু আয়-ব্যয়ের হিসাবটা যেই সভায় আপনারা নির্ধারণ করেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির একজন সদস্যকে রাখুন। তাহলে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বাকিদের কাছে সঠিক তথ্যটা পৌঁছে দেব, কিন্তু তারা এতে রাজি হননি।’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘উপাচার্য নিজের পরিদর্শন ভাতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন, অথচ সাধারণ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে মাত্র ৫ শতাংশ পরিদর্শন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় আয় হয়েছে প্রায় ২১ থেকে ২৩ কোটি টাকা। সেখানে আমরা হিসাব করে দেখলাম, খুব বেশি হলে এখানে ৭-৮ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কোনো সুযোগই নেই।

‘তাহলে এ অর্থ কোথায় যাচ্ছে? এ টাকা কোন খাতে ব্যয় করছেন, সেটা যদি সবার সামনে তুলে না ধরেন, তাহলে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর