বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই স্বাধিকার ও স্বাধীনতা: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৪:১৪

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়েছে, রক্তের অক্ষরে ভাষার অধিকারের কথা লিখে গিয়েছে। পাকিস্তানি শাসকরা যখন আমাদের মায়ের ভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল, সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আমরাই ছিলাম বেশি। আর যে ভাষাটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, উর্দু, সেটা কারও মাতৃভাষা নয়, পুরো পাকিস্তানের ৭ ভাগ লোকও এটা ব্যবহার করত কি না, সেটাই প্রশ্ন।

ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক্ষেত্রে অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়েছে, রক্তের অক্ষরে ভাষার অধিকারের কথা লিখে গিয়েছে। পাকিস্তানি শাসকরা যখন আমাদের মায়ের ভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল, সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আমরাই ছিলাম বেশি। আর যে ভাষাটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, উর্দু, সেটা কারও মাতৃভাষা নয়, পুরো পাকিস্তানের ৭ ভাগ লোকও এটা ব্যবহার করত কি না, সেটাই প্রশ্ন।

তিনি বলেন, অথচ আমরা বাঙালিরা ছিলাম প্রায় ৫৫ ভাগ। আমাদের ভাষা কেড়ে নিয়ে দ্বিজাতীয় একটা ভাষা যখন চাপিয়ে দিতে চায়, তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তমদ্দুন মজলিশসহ আরও কয়েকটি সংগঠন নিয়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষার জন্য সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলেন এবং আন্দোলন শুরু করেন। সেই আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা আমাদের স্বাধিকার আদায় করেছি স্বাধীনতা পেয়েছি।

সরকারপ্রধান আফসোস করেন, দুঃখের বিষয় ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। আমরা সে সময়কার গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন নিয়ে বই বের করেছি। সেসব গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান উঠে এসেছে। যেসব গোয়েন্দা প্রতিবেদন লিখেছিলেন তার শত্রুর। তা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তার লেখনীতেও ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা উঠে এসেছ।

শেখ হাসিনা বলে, অনেকে বলেন তিনি তো জেলে ছিলেন। আসলে তিনি জেলে ছিলেন কেন? আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন বলেই তো। আসলে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে অবদান, সেই আন্দোলনের যে ইতিহাস, সেখান থেকেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামটা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ২১ আমাদের শিখিয়েছে মাথানত না করা। আমরা মাথা উঁচু করেই চলবো। বিশ্বের বুকে মর্যাদা নিয়ে চলবো। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হকের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র একজন মানুষ সমাজকে নিয়ে ভেবেছেন, কাজ করেছেন। দই বিক্রি করে পাঠাগার করেছেন, তিনি আমাকে বলেছেন, ওই পাঠাগারের স্থায়ী জমি দরকার। তার করে দেয়া স্কুলটিও সরকারি করার জন্য বলেছেন। আমি খোঁজখবর নেব। তাদের জন্য করব, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে বলছি।

তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারা পৃথিবী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হারিয়ে যাওয়া মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। আজকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কয়েকজনকে আমরা একুশে পদক দিতে পেরে আনন্দিত, গর্বিত। সমাজে আরও অনেক গুণী আছে। একসঙ্গে তো সবাইকে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, ত্যাগী এই মানুষদের খুঁজে বের করা সমাজের উচ্চ শ্রেণির দায়িত্ব।

এ বিভাগের আরো খবর