কারাগারে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার সন্ধ্যার পর কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা এর আগে সোমবার দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে থানার আরেক মামলায় জামিন পান। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দিনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে।
কারা ফটকে মির্জা আব্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মহিলা দলের সভানেত্রী ও তার সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
এ সময় সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি এই সরকারকে এটুকু বলবো- জেলখানায় যারা আছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। অপ্রতুল চিকিৎসার কারণে আমাদের বহু কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মুক্তির আন্দোলন চলবে। জেলখানার ভেতরে এখনও আমাদের অনেক নেতাকর্মী আছে। সরকার অনেক কর্মীকে সাজা দিয়েছে। আমাদেরকে প্রথমে ওদেরকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ কর্মী ছাড়া কখনও দল বাঁচে না। পানি ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনই কর্মী ছাড়া দল বাঁচবে না।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বছরের ২৮ অক্টোবর আয়োজিত বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়।
শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেওলয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসের পল্টন থানার পাঁচ এবং রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
৫ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানার চার ও রমনা মডেল থানার দুই মামলায় জামিন পান তিনি। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানপুর, পল্টন ও রমনা মডেল থানার পৃথক আরও তিন মামলায় এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তাকে জামিন দেয়া হয়।