বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অস্ত্রসহ আটক ২২ রোহিঙ্গার ১১জন রিমান্ড শেষে কারাগারে

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৩৪

উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘দুইধাপে ২২ রোহিঙ্গাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমধাপে ১১ জন রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার পর দ্বিতীয় ধাপে বাকি ১১ জনকে আজকে নেয়া হচ্ছে।’

মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী দেশটির ১১ রোহিঙ্গা নাগরিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে অপর ১১ রোহিঙ্গাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২২ রোহিঙ্গা নাগরিককে তিন দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন কক্সবাজারের জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা।

উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ আটকের পর বিজিবির করা মামলার শুনানি ছিল গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি)। সেই মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা ২২ জনের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একজন অসুস্থ থাকায় তাকে সেদিন আদালতে আনা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘দুইধাপে ২২ রোহিঙ্গাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমধাপে ১১ জন রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার পর দ্বিতীয় ধাপে বাকি ১১ জনকে আজকে নেয়া হচ্ছে।’

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশের পর তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েক সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম উখিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। সে মামলা আরও তদন্ত ও অস্ত্রসহ কেন তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলেন, তা জানার জন্য আটককৃতদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

আসামীরা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের ৩০ বছর বয়সী মো. হোসেন আহমদ, একই ক্যাম্পের ২৩ বছর বয়সী মো. রফিক, ৩০ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ, ৯ নম্বর ক্যাম্পের ১৯ বছর বয়সী মো. জুনাইদ, একই ক্যাম্পের ২৩ বছর বয়সী মো. হারুন, ১৯ বছর বয়সী মো. কায়সার ও মো. সাবের, ১০ নম্বর ক্যাম্পের ১৯ বছর বয়সী ওসামা, ওমর ফারুক, মো. সাদেক, ইয়াসিন আরাফাত, মো. ইসমাইল ও মো. রহিম, একই ক্যাম্পের ২৪ বছর বয়সী হারুন অর রশিদ, ১১ নম্বর ক্যাম্পের ৩৮ বছর বয়সী নজু মোল্লা, ১৫ নম্বর ক্যাম্পের ১৯ বছর বয়সী সৈয়দ উল্লাহ ও হাফেজ আহমেদ, ২০ নম্বর ক্যাম্পের ১৯ বছর বয়সী মো. জোবায়ের, কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের ২০ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ, একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের ২২ বছর বয়সী এনামুল হাসান, ২ নম্বর ক্যাম্পের ২৪ বছর বয়সী মো. রফিক ও সৈয়দুল ইসলাম এবং ৭ নম্বর ক্যাম্পের ২১ বছর বয়সী মো. আরমান।

এদের কাছ থেকে মোট ১২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এসএমজি পাঁচটি, জি-৩ রাইফেল একটি, পিস্তল দুইটি, রিভলভার চারটি। এছাড়া ১৯৮ রাউন্ড এসএমজি গুলি, ৯৮ রাউন্ড এমজি গুলি, ২৭৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১০৩ রাউন্ড জি-৩ রাইফেলের গুলি, ১৯৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ইত্যাদি।

এ বিভাগের আরো খবর