জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, চাঁদাবাজি সমাজে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এটা বন্ধ করতে হবে।
রোববার সংসদে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির এই সদস্য বলেন, ‘সহকর্মী সংসদ সদস্যদের কাছে আমার আবেদন। আসুন আমরা এই একটি ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হই, যেখানে কোনো পয়সা খরচ হবে না। কিছুই লাগবে না। আমরা তাদের সমর্থন করব না, শুধু তাদের প্রতিহত করব। আমার মনে হয়, এটা করলেই বাংলাদেশ টিকে থাকবে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পণ্য পরিবহনে চাঁদা দিতে হয়। এতে মোট দাম বেড়ে যায়। বাড়ি নির্মাণ করতে হলে চাঁদা দিতে হয়। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে রড, ইট, সিমেন্ট বা বালু সরবরাহের কাজ দিতে হয়।
‘গরিব হকারদের কাছেও চাঁদাবাজি করা হয়। রিকশা স্ট্যান্ডেও চাঁদাবাজ থাকে। চাঁদাবাজি একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে ভয়ংকর সমস্যা হবে।’
সব সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজদের সমর্থন না করা এবং তাদের প্রতিহত করার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। আর চবি ছাত্রলীগ এই অর্থ ভাগাভাগির অংশীদার হতে চায়, যা তারা আগেও করেছে।’
শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এটা যদি সঠিক হয়, তাহলে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জনগণকে জানাতে হবে।’