বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণকারী যৌন নিপীড়কদের বিচার দাবিতে জাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ

  • প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৫:৫৮

প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘র‍্যাব বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্ষণকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না, আমরা সবাই তা উপলব্ধি করছি। কেবল আমাদের উপাচার্য মহোদয় তা উপলব্ধি করতে পারছেন না।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আবাসিক হলের রুমে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন ‘অমর একুশে’ ভাস্কর্যের পাদদেশে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কর্মসূচি পালন করে তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’র ব্যানারে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি ও অভিযুক্ত ধর্ষণকারী মোস্তাফিজুর রহমানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি

ধর্ষণকারী ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র‍্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা, যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা এবং ইতোপূর্বে যৌন নিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সব অমীমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানা অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা।

এ ছাড়া প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য

মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমাদের দাবির মধ্যে দিয়েই আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট উন্মোচন করেছি। আমাদের দাবিগুলো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের দাবি, শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপদ রাখার দাবি ও বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষতা মুক্ত করার দাবি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।

‘আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি নিপীড়ক শিক্ষককে অব্যাহতি না দেয়া হলে আমরা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট ঠেকাতে বাধ্য হব। দাবি আদায় না করে টালবাহানা করার কোনো সুযোগ প্রশাসনের নেই।’

প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘র‍্যাব বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্ষণকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না, আমরা সবাই তা উপলব্ধি করছি। কেবল আমাদের উপাচার্য মহোদয় তা উপলব্ধি করতে পারছেন না।’

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিরাগত নিষিদ্ধ করতে পারলেও আশ্চর্যজনকভাবে ক্যাম্পাসে সাবেক শিক্ষার্থীদের অপরাধ দমন করতে পারেনি, তাদের প্রভাব ঠেকাতে পারেনি বরং প্রশাসন আমাদের চলমান আন্দোলনকে ক্রমাগত বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই প্রশাসনকে ধিক্কার জানাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর