বিএনপির হাত ধরে দেশে উগ্রবাদের জন্ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশে বিএনপির চেয়ে বড় উগ্রবাদী কারা? আজকে মির্জা ফখরুল কেন বলেন না, তাদের কথামতো না চললে দেশে উগ্রবাদ চলবে? সরকার আত্মশক্তিতে বলীয়ান।’
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বেফাঁস কথা বলে না, বিএনপিই বলে। বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো বেপরোয়া রাজনীতির চালক মির্জা ফখরুল। রাজনীতিতে বিএনপি দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়। অতীতে তাদের এ ইতিহাস আছে। এই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা বারে বারে ঘটাতে চায়।’
সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা এ দেশে হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট, যার মাস্টারমাইন্ড ছিল খন্দকার মোস্তাকের সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমান।
‘অবাক লাগে, তারা নিজেদের ওপর আরোপিত অভিযোগ নতুন করে আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের ওপর।’
তেসরা নভেম্বর জেলহত্যা, একুশে আগস্ট ২০০৪ সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলায় ২৩ জনের প্রাণ ঝরে গেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ড বিএনপির আমলে সংঘটিত হয়েছিল। এরপর মির্জা ফখরুল হঠাৎ এক বিবৃতিতে কোথা থেকে পেলেন আওয়ামী লীগ নাকি হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে?
‘বিএনপি নিজেরাই নিজেদের নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপিয়েছিল নির্বাচনকে সামনে রেখে। একুশে আগস্ট জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল তারা। এমন নাটক তারা বারে বারে সাজিয়েছে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য।’
বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি কোথায় ঘুরে দাঁড়াবে সেটা আমাদের জানা নেই। এ কথা আগেও শুনেছি। কোন বছর ঘুরে দাঁড়াবে? আন্দোলনের যে চৌকস কথার ফুলঝুরি অনেক শুনেছি, সে কথা বার বার বলতে গিয়ে বিএনপি নেতারা জনগণের কাছে নিজেদেরকেই খাটো করছেন।’
দেশে আন্দোলনের কোনো বস্তুগত ইস্যু নেই জানিয়ে কাদের বলেন, ‘তারা গায়ে পড়ে ইস্যু খুঁজে বেড়ায়।’