মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে কেউ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সতর্ক অবস্থানে আছে কোস্ট গার্ড; নৌবাহিনীও কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে। তাই সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র নিয়ে এদেশে প্রবেশের সুযোগ নেই।’
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘শুধু আরাকান আর্মি নয়, সারা মিয়ানমারেই তাদের অনেকগুলো এথনিক গ্রুপ যুদ্ধে লিপ্ত। আরাকান আর্মি আমাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। ফলে সেখানকার কিছু গোলাগুলির শব্দ আমাদের এখানে আসে।’
তিনি বলেন, ‘ওখানে (মিয়ানমার সীমান্তে) আমাদের বিজিবির ফোর্স আরও বাড়িয়েছি। কোস্ট গার্ড, নেভিও ওখানে সজাগ রয়েছে। সেখানে আমাদের পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কাজেই ওখান থেকে আমাদের দেশে কেউ প্রবেশ করবে, সেটি হবে না।’
বিএনপিকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখান করেছে মন্তব্য করে এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় বলে আসছি, ধারাবাহিকভাবে আপনারা যদি বিশ্লেষণ করেন, ২০০১ সালের পরে ২০০৮-এ তারা কতগুলো সিট পেয়েছে? ৩০টা।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪-তে তারা বয়কট করল, ২০১৮-তে মাত্র ৬টি সিট পেয়েছে। তারা সুনিশ্চিত যে, তারা যদি কোনো ষড়যন্ত্র না করতে পারে, কিংবা তাদের বিদেশি প্রভুরা যদি ইন্টারফেয়ার না করতে পারে, তাহলে নির্বাচনে জিতবে না। সেজন্যই তারা এবারও নির্বাচনে আসেনি।
‘তাদের কথা শুনে দেশের মানুষ হেসেছিল। জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা যে সমস্ত প্রোগ্রাম দেয়, মানুষ সেগুলোতেও হাসে।’
মিরপুরে ১৪ তলা গ্রামীণ পরিবারের ভবনে সরকারের জবরদখলের বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে পারি, আইনের বাইরে আমরা কিছু করছি না। ড. ইউনূসের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার। আদালতের নির্দেশনা যেভাবে আসছে, সেভাবেই কাজ হচ্ছে। এর বাইরে সরকার কিংবা পুলিশ, কেউ কিছু করছে না।’
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পার্টি থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য নির্বাচনে আমরা নৌকা প্রতীক আর ব্যবহার করব না। আমাদের সিদ্ধান্তটা সেরকমই। সব নির্বাচনে আমাদের ডিরেকশন এটাই- যেহেতু নৌকা প্রতীক থাকবে না, যে যার যার প্রতীক নিয়ে ফাইট করবে। তারা কে কতখানি জনপ্রিয়, সেটা প্রমাণ হবে।
‘আমরা মনে করি, জনপ্রিয় লোকগুলো নির্বাচনে আসুক। জনপ্রিয় লোকগুলো নির্বাচনে আসলে, তাদের এলাকা ডেভলপ করতে তারা বাধ্য হবেন এবং তারা তা করবেন।’