কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার সবুজবাগ এলাকায় পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নালাটি বন্ধ করে দলান ঘরের রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
সবুজবাগের এই নালা দিয়ে পৌর শহরের সমিতি মার্কেট, রূপালী শপিং কমপ্লেক্স, দুলাল সেন্টারসহ ১০টি মার্কেট ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্জ্য, হাসপাতাল পাড়া, খোদারকুম ও সবুজবাগ আবাসিক এলাকার পানি মাতামুহুরি নদীতে নিষ্কাশন হয়। এটি বন্ধ হলে সরকারি হাসপাতাল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহিলা কলেজ, কোরক বিদ্যাপীঠ ও ফায়ার সার্ভিসসহ পুরো এলাকার অন্তত ৫ হাজার মানুষ বর্ষার সময় পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শতবছর ধরে এই নালাটি ছোট একটা নদীর মতো ছিল। শহরের ময়লা-আবর্জনা এই নালা হয়ে নদীতে পতিত হতো, কিন্তু সবুজবাগ এলাকায় দিন দিন দালানকোঠা বৃদ্ধি পাওয়ায় নালাটি সংকীর্ণ হয়ে আসছে। তবে নালাটি দখল করে যে রাস্তা তৈরি করবে কিংবা পানি চলাচল বন্ধ করবে, এটা কখনও ভাবেননি তারা।
এই নালাটি সহজে যেনো কারও চোখে না পড়ে সেজন্য কালো পলিথিন ও ঢেউটিন দিয়ে ঘেরাও করে দিয়েছে অজ্ঞাতরা।
পৌর শহরের সবুজবাগের বাসিন্দা দৈনিক যুগান্তরের চকরিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক আবুল মনসুর মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘ড্রেনের কিছু অংশ ভরাট করার সময় এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে আমি বাধা দিয়েছিলাম। তখন রাসেল নামের একজন বলেছিলেন, তিন মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে উপরে পাটাতন দিয়ে পুরো ড্রেন সংস্কার করে দেবেন। অথচ, তিনি তা না করে উল্টো নালাটিই বন্ধ করে দিয়েছেন।’
স্থায়ীভাবে নালা বন্ধ হয়ে গেলে পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড বর্ষার পানিতে নিমজ্জিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আশা করেন, চকরিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘আগামীকাল পৌর কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে গিয়ে এর সমাধান করে দেবে।’