হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদী এক সময় ছিল খরস্রোতা নদী। ক্রমাগত দখল-দূষণে এই নদীটি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। কোথাও কোথাও পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে নদীর অংশ। পচা দুর্গন্ধ আর মশার উপদ্রবে নাজেহাল আশপাশের বাসিন্দারা। শহরজুড়ে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। দীর্ঘ দাবিরপরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে নদীটি দূষণমুক্ত করার কাজ শুরু করেছে হবিগঞ্জ পৌরসভা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় নদীটি পরিষ্কারে বুধবার থেকে শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকায় লাগানো হয়েছে একটি এক্সেভেটর।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ মুশফিক আহমেদ বলেন, ‘পৌরসভার মেয়র মহোদয়কে নিয়ে অনেক বার আমরা বৈঠক করেছি। অবশেষে এলাকাবাসী ও পৌরসভার উদ্যোগে নদীটি পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি এবার আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব।’
৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর টিপু আহমেদ বলেন, ‘আমরা নিজেরাই ময়লা ফেলে নদীর এই অবস্থা করেছি। এখন নিজেরাই দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রবে ভুগতেছি। আমার অনুরোধ থাকবে, নদীটি পরিষ্কারের পর কেউ যেন আর ময়লা আবর্জনা না ফেলেন।’
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, ‘শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পুরাতন খোয়াই নদী যেন পরিচ্ছন্ন করা হয়। এলাকাবাসী ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা আমরা নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকা থেকে দুষণমুক্ত কাজ শুরু করেছি। এটা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহরের জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ খোয়াই নদী ভরাট। তাই আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা নদীটি পরিষ্কার করে খনন করতে চাই।’
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘শহরকে পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর প্রথম ধাপ হিসেবে পুরাতন খোয়াই নদী পরিষ্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি কাজও সম্পন্ন হবে।’