বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুড়িগ্রামে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার  

  • প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম   
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৫:৫৯

নাগেশ্বরী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে চারজনের নামে মামলা হয়েছে। রাতেই এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই যুবক ও সহায়তাকারী এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নাগেশ্বরী পৌরসভার সাঞ্জুয়ার ভিটায় বুধবার বিকেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন জানান, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাশেরতল জামতলা গ্রাম থেকে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তাইয়ের পাড় গ্রামে খালার বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই তরুণী বুধবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি থেকে বের হয়ে নাগেশ্বরীর ভাই ভাই মোড় পার হলে পূর্ব পরিচিত মালভাঙ্গা গ্রামের খোকা মিয়ার সঙ্গে তার রাস্তায় দেখা হয়। খোকা মিয়া তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছো ?’। তরুণী বলেন, ‘খালার বাড়িতে যাচ্ছি এবং সেখানেই রাতে থাকব।’

ওই সময় খোকা তাকে মোটরসাইকেলে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে প্রতিবেশী মূসা মিয়াকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে মূসার মটরসাইকেলে ওই তরুণীকে তুলে তারা সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহ আলমের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ওই তরুণীকে দুজনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

তরুণীর পরিবার আরও জানায়, শাহ আলম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম নিজ বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে তরুণীদের এনে শারীরিক সম্পর্কে সহায়তা করে আসছেন। ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুজন তরুণীকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দিয়ে চলে যান। পরে ওই তরুণীকে শাহ আলম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম একটি ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখেন।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই তরুণীর বাবা লোকজনের সহায়তায় শাহ আলমের বাড়ি থেকে বুধবার রাত আটটার দিকে মেয়েকে উদ্ধার করেন। ওই রাতেই তরুণীর বাবা নাগেশ্বরী থানায় খোকা, মূসা, শাহ আলম ও তার স্ত্রী খুশি বেগমের নামে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হওয়া মামলায় খোকা ও মূসা এবং খুশি বেগমকে বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, তবে অভিযুক্ত শাহ আলম পলাতক।

ওই তরুণীর বাবা জানান, তার মেয়ে সরল প্রকৃতির। খোকা ও মূসা তার মেয়ের সম্পর্কে চাচা। তাই তাদের মোটরসাইকেলে উঠে পড়েন। তারা দুজন মেয়েটিকে নিয়ে নির্যাতন করে বিক্রি করে দেন। তার মেয়ের সামনেই অন্য ছেলেদের কাছ থেকে শাহ আলমের স্ত্রী খুশি বেগম ১০ হাজার টাকা নেন। মেয়ে সবকিছুই তাকে জানিয়েছে। তিনি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চান।

নাগেশ্বরী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে চারজনের নামে মামলা করা হয়েছে। রাতেই এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই যুবক ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। একজন নারী তাদের সহায়তা করেছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর