বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণ নিয়ে সাংবাদিকদেরই কথা বলতে হবে: আরাফাত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২২:৩১

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে যে সরকারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে।’

সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে।

রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক কর্মশালায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।

প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে অংশ নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত বলেন, ‘সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে যে সরকারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে।

‘এজন্য বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশ-বিদেশে সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে এটা সাংবাদিকরাই চান। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে।’

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, সব পেশাদার সাংবাদিকের দাবি- সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক। একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক। একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক যে কে সাংবাদিক আর কে সাংবাদিক না।

‘সাংবাদিকরাই বলছেন যে সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যেজন্য সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আরেক গোষ্ঠী প্রশ্ন তুলবে- তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের।

‘অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য ও অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

‘মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়।

সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোনো আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোনো আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর