সাড়ে তিন মাস কারাবন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েই ‘ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন’ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল।
একইসঙ্গে কারামুক্ত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় নেতাকর্মীরা দলের শীর্ষস্থানীয় এ দুই নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানানোর সময় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। ইনশাআল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে।’
চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরানোর চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথাও দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের কোনো ক্ষতি হয়নি। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ৭ জানুয়ারি একপাক্ষিক নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি।’
নির্বাচনে ওরা জনগণের কাছে হেরেছে: আমীর খসরু
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মুক্তির পর কারা ফটকে বলেন, ‘ওরা (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্রশক্তিকে কব্জা করে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশের মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ওরা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে ততদিন এই সংগ্রাম চলবে।