রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের একটি চলন্ত ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনার ৪০ দিন পর দগ্ধ চারজনের মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা শেষে সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ওসি ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
নিহতারা হলেন- গেন্ডারিয়ার ৭৬ শরৎ গুপ্ত রোডের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী নাতাশা ইয়াসমিন নেকি, রাজবাড়ি সদর উপজেলার কালুখালী গ্রামের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সী আবু তালহা, একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি ও লক্ষীকুল গ্রামের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী এলিনা ইসলাম।
নাতাশার ভাই খোরশেদ আলম, আবু তালহার মামা মনিরুল ইসলাম, সৌমির ভাই দিবাকর চৌধুরী ও এলিনার ভাই মনিরুজ্জামান তাদের মরদেহগুলো বুঝে নেন।
ওসি ফেরদাউস আহম্মেদ বলেন, ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় চারজনের দেহই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তাদের শনাক্ত করার মতো উপায় ছিল না। পরে লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ল্যাবে ক্রসম্যাচ করে তাদের স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত ৫ জানুয়ারি রাত পৌনে দশটার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে পৌঁছালে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাত ১০টা ২০মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে ট্রেনটির তিনটি কোচ পুড়ে যায়। পুড়ে নিহত হন চারজন, দগ্ধ হন অন্তত আটজন।