ঝালকাঠির নলছিটিতে সড়কে বাস মালিক সমিতির চেকপোস্টে যাত্রীবাহী মাহেন্দ্র ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ষাইটপাকিয়ায় বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সড়কে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় মাহেন্দ্র চালক ও এক পরীক্ষার্থী আহত হয়ন মাহেন্দ্র চালকের নাম মো. হাসান ও পরীক্ষার্থীর নাম হাবিবুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শী রানা, মাহেদ্র যাত্রী সাইফুল এবং চালক হাসান বলেন, ষাইট পাকিয়ায় বাস মালিক সমিতির চেকপোস্টে মালিক সমিতির নিয়োগ করা কর্মচারী ফরিদ লাঠিহাতে ডিউটি করছিলেন। বরিশাল থেকে ভান্ডারিয়া যাওয়ার পথে চেকপোস্টে বরিশাল থ ১১-০২৪৪ নম্বরের মাহেন্দ্র গাড়িটির গতিরোধ করে হাতের লাঠি দিয়ে মাহেদ্রকে আঘাত করেন ফরিদ। এরপর মাহেন্দ্রর সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে ভেঙে ফেলা হয়।
মাহেন্দ্রতে থাকা পরীক্ষার্থী হাবিবুর রহমান এবং সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে আরও জানান, তারা ভোলা থেকে এসেছেন, বিকেলে তাদের ফাযিল পরীক্ষা আছে। তারা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি চেকপোস্টে থামানোর পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় লাঠির আঘাত। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। লাঠি ও ভাঙা কাচে কেটে যাওয়া হাতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তারা।
মাহেন্দ্রর আরেক যাত্রী আবদুস সোবাহান মিয়া চাকরি করেন ওষুধ কোম্পানি অপসোনিন ফার্মায়। তিনি বলেন, “আমি মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলাম। ধাক্কাধাক্কিতে আমি পিঠে আঘাত পেয়েছি।”
ঘটনাস্থলের থাকা আহসান উদ্দিন জানান, কয়েক দিন আগে ভারত থেকে আসা দুই যাত্রীকে হেনস্থা করে মাহেন্দ্র থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। যা ছিলো দুঃখজনক ঘটনা।
ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবুজাফর বলেন, এই রুটে যাত্রী হয়রানী দীর্ঘ দিনের। যাত্রীদের পক্ষে কথা বলার মতো ব্যক্তি ও সংগঠন কম। যাত্রী হয়রানি এবং একটি গ্রুপের সেচ্ছাচারিতা বন্ধে নাগরিক ফোরাম শিগগিরই কর্মসূচি দেবে।
অভিযুক্ত মালিক সমিতির কর্মচারী মো.ফরিদ বলেন, ‘মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যাতে না চলে আমাদেরকে সমিতি থেকে নির্দেশনা দেয়া আছে। আমি ওই মাহেন্দ্রকে সিগনাল দিলে চালক আমার গায়ে উঠিয়ে দিতে চেয়েছে, তাই আমি লাঠি দিয়ে বাধা দিয়েছি।’
ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা মাহেন্দ্র চালককে তার গ্লাসের ক্ষতিপূরণ টাকা দিয়েছি। যাত্রীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।