কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচনে চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে রির্টানিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র উপনির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রির্টানিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি শেষ দিন বেলা ১১টার চার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন- কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা, দুবারের সাবেক মেয়র বহিস্কৃত বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক সেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দীন কায়সার ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম।
আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সিটিতে মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেয়া হবে। আপিলের সময়সীমা ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন ৯ মার্চ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইভিএমে।
এবার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন। এর মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন পুরুষ ভোটার এবং ১ লাখ ২৮ হাজার ২৭৮ জন নারী ভোটার রয়েছেন। এ ছাড়া ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। গত নির্বাচনে সিটিতে ভোটার ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এবার উপনির্বাচনে পুরুষ ও নারী ভোটার বেড়েছে ১২ হাজার ৫৩৮ জন।
২০২২ সালের কুসিকের তৃতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ এবং সাক্কু পান ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিফাত। এরপর থেকে প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদী ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।