শেরপুরের শ্রীবরদীতে একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার আগের দিন এসেও প্রবেশপত্র হাতে না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। দিনভর এমন পরিস্থিতির পর অবশেষে রাতে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে ছাড় মেলে ওই প্রধান শিক্ষকের।
এক পর্যায়ে পরীক্ষার আগের রাতে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের অনুরোধে প্রবেশপত্র না পাওয়া শ্রীবরদীর চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ১৪ শিক্ষার্থীকে রাতেই প্রবেশপত্র দেয় শিক্ষা বোর্ড।
স্থানীয়রা জানান, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার সকালে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে যান শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র হাতে পেলেও ১৪ পরীক্ষার্থী এদিন প্রবেশপত্র হাতে পাননি। এ কথা ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিকেল থেকে স্কুল মাঠে তারা বিক্ষোভও করেন। খবর পেয়ে রাতেই শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনেন। এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলারকে বিশেষ ব্যবস্থায় এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে রাতেই শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও প্রধান শিক্ষকের হাতে প্রবেশপত্র হস্তান্তর করা হয়। এতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাবা আফরোজ আলী বলেন, ‘এডমিট নিয়া ভেজাল হইছিল তাই আমরা প্রথম আন্দোলন করেছিলাম। ইউএনও স্যারের অনুরোধে তা বাদ দিয়েছিলাম। রাতের মধ্যেই সন্তানের এডমিট পাইছি। খুব খুশি লাগতাছে।’
আরেক শিক্ষার্থীর বাবা ওয়াহেদ আলী বলেন, ‘ডিসি স্যার, বোর্ডের অফিসার ও ইউএনও স্যারদের আল্লাহ ভালো করুক। এডমিট না পাইলে এডা বছর শেষ হইয়া যাইতো।
প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে এমন প্রতিক্রিয়া অন্যান্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
এদিকে প্রবেশপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন।
তিনি বলেন, ‘ডিসি স্যারের হস্তক্ষেপে এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থায় সমস্যার সমাধান হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। পরবর্তীতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’