বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে সহসাই চালু হচ্ছে না কমিউটার ট্রেন

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া আছে। ফেব্রুয়ারিতে চালু করার উদ্যোগ ছিল। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটের কারণে এই সময়ের মধ্যে তা চালু করা যাচ্ছে না। কবে নাগাদ চালু হতে পারে তা এখনই বলতে পারছি না।’রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া আছে। ফেব্রুয়ারিতে চালু করার উদ্যোগ ছিল। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটের কারণে এই সময়ের মধ্যে তা চালু করা যাচ্ছে না। কবে নাগাদ চালু হতে পারে তা এখনই বলতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে শিগগির চালু হচ্ছে না কমিউটার ট্রেন। কবে নাগাদ চালু হতে পারে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। ইঞ্জিন সংকটের কারণেই সহসা চালু হচ্ছে না এই ট্রেন। ফলে চট্টগ্রামের যাত্রীদের অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হচ্ছে।

ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামে প্রথম বাণিজ্যিক ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত বছরের ১ ডিসেম্বর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি যুক্ত হয় ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামে আরও এক জোড়া নতুন আন্তঃনগর ট্রেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ইঞ্জিন ও লোকবল সংকটের কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায়।

নবনিযুক্ত রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম দায়িত্ব পাওয়ার পর আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে দু’মাসের মধ্যে কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। কিন্তু আপাতত তা-ও হচ্ছে না।

বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু আছে। ট্রেন দুটি শুধু চট্টগ্রামে বিরতি দিচ্ছে। তবে চট্টগ্রামের আর কোনও এলাকার যাত্রী এই রেল রুটে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন না। এ কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা ট্রেনে যাতায়াত সুবিধা পেতে আবেদন করেছেন পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন করে কমিউটার ট্রেন অবশ্যই চালু করা হবে। এটা সিদ্ধান্ত নেয়া আছে। ফেব্রুয়ারিতে চালু করার উদ্যোগ ছিল। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটের কারণে এই সময়ের মধ্যে তা চালু করা যাচ্ছে না। কবে নাগাদ চালু হতে পারে তা এখনই বলতে পারছি না। সদর দফতরের নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত কমিউটার ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর ষোলশহর, জানআলী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে থামবে। সে সুবাদে এসব স্টেশনে যাত্রী উঠা-নামা করতে পারবে। সবশেষে ট্রেনটি গিয়ে থামবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত আছে। ইঞ্জিন সংকট কাটলেই এগুলো চালু করা সম্ভব হবে।’

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করেন। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।

প্রধানমন্ত্রী ভিত্তি স্থাপনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েলগেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। পরে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর