বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিসির কাছে বিচার দিলেন ‘চাঁদাবাজে অতিষ্ঠ’ অটোরিকশার চালক

  • প্রতিনিধি, কাপাসিয়া (গাজীপুর)   
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২০:৫০

অটোরিকশাচলক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ টাকার পরিবর্তে প্রতিদিন চাঁদা হিসেবে ১০০ টাকা নির্ধারণ করেন তারা। ফলে এত বড় অঙ্কের চাঁদা পরিশোধ করে সড়কে অনেকেই অটোরিকশা নিয়ে বের হতে পারছেন না। তাই চাঁদা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যানবাহনে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে এর থেকে মুক্তি পেতে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) শরণাপন্ন হয়েছেন এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। বুধবার লিখিত এ অভিযোগের মাধ্যমে ডিসির কাছে প্রতিকার চেয়েছেন তিনি।

অভিযোগকারী উপজেলার রাওনাট সোনারখিল গ্ৰামের মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা। কাপাসিয়া থানা মোড় থেকে রাওনাট বাজার পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো অভিযোগপত্রটি গাজীপুরের পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), গাজীপুর আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং কাপাসিয়া প্রেসক্লাবেও পাঠিয়েছেন তিনি।

ওই সড়কে অর্ধশতাধিক চালক প্রতিদিন অটোরিকশা চালান। অভিযোগপত্রে তাদের ১৪ জনের নামসহ স্বাক্ষর রয়েছে।

অভিযোগকারী মো. জাহাঙ্গীর মোল্লার অভিযোগ, কাপাসিয়া থানার মোড় থেকে রাওনাট পর্যন্ত চলাচলকারী একেকটি অটোরিকশা থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয়ে এসব চাঁদা আদায় করেন অটোরিকশা সমিতির সভাপতি মো. বাদল, সাধারণ সম্পাদক কাজল মিয়া ও ক্যাশিয়ার মো. ইসমাইল।

তারা কয়েকজন মিলে অটোরিকশাচালক সমিতি গঠন করেছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া সড়কটিতে নতুন করে প্রতিটি অটোরিকশা নামাতে তাদের তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা এককালীন চাঁদা হিসেবে দিতে হয়।

জাহাঙ্গীরের দাবি, এসব বিষয়ে সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাকে চাঁদা আদায়কারী ওই তিন ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।

জেলা প্রশাসকের লেখা চিঠি।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরবর্তীতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ টাকার পরিবর্তে প্রতিদিন চাঁদা হিসেবে ১০০ টাকা নির্ধারণ করেন তারা। ফলে এত বড় অঙ্কের চাঁদা পরিশোধ করে সড়কে অনেকেই অটোরিকশা নিয়ে বের হতে পারছেন না। তাই চাঁদা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’

মো. রাসেল নামের ওই সড়কের এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘স্বল্প আয়ের চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ায় দিনশেষে আমাদের আয় একেবারেই কমে যাচ্ছে।’

অভিযুক্ত মো. বাদলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা চাঁদা নিচ্ছি না। সবার সম্মতিক্রমে লাইনম্যানের জন্য ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছিল। বর্তমানে এই টাকাও নেয়া হচ্ছে না; এসব অভিযোগ সত্য নয়।’

সমিতি গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা ওই সড়কে চলাচলকারী সব চালকদের নিয়ে সমিতি করেছি; চাঁদাবাজি করছি না।’

গাজীপুর আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফকির বলেন, ‘চাঁদাবাজির বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি জরুরি সভা ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কাপাসিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, ‘থানার ওসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর