ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের তিন দিন পর এক নারীকে তার স্বামী গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার দক্ষিণ ইউপির হীরাপুর গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মো. হানিফ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ওই নারীর স্বামী মো. হামিদুল ভুইয়া পলাতক রয়েছেন।
প্রাণ হারানো ২২ বছর বয়সী গৃহবধূ তাছলিমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের রাজ্জাকের মেয়ে। তাছলিমার স্বামী সৌদি প্রবাসী হামিদুলের বাড়ি হীরাপুর গ্রামে।
আখাউড়া থানার ওসি মো. নূরে আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের বারাত দিয়ে তিনি জানান, সাত থেকে আট মাস আগে হামিদুল ভুইয়া সৌদিতে থাকা অবস্থায় তাছলিমা আক্তারকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে করেন। ঘটনার কিছুদিন আগে হামিদুল সৌদি থেকে বাড়িতে যান। এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি হামিদুল স্ত্রী তাছলিমাকে পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে যান।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বাসর ঘরেই গলা কাটা অবস্থায় তছলিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাছলিমার বড় ভাই হানিফ জানান, বোনকে বাঁচাতে গেলে তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করেন হামিদুল। পরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আখাউড়া থানার ওসি মো. নূরে আলম জানান, মরদেহের সুরতহাল হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং স্বামী হামিদুলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত।