রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহসহ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৪’ দিচ্ছে সরকার।
তাদের মধ্যে রয়েছেন সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর ও শুভ্র দেব, নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ, অভিনেতা এম এ আলমগীর, ডলি জহুর, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা, ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন প্রমুখ।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম জানিয়েছে।
ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখায় মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়াকে (মরণোত্তর) একুশে পদক দেয়া হচ্ছে।
শিল্পকলায় সংগীত ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পাচ্ছেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।
নৃত্যকলায় একুশে পদক পাচ্ছেন শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয়ে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী।
চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামান্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে একুশে পদক পাচ্ছেন কাওসার চৌধুরী।
সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন ও মিনার মনসুর, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষায় একুশে পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু।
স্বাধীনতা পুরস্কারের পর রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পদক দিয়ে আসছে সরকার।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পুরস্কারপ্রাপ্তদের পদক দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।