নেত্রকোণার দুই উপজেলায় দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
পূর্বধলা
নেত্রকোণার পূর্বধলায় ট্রাক ও সিনএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের আতকাপাড়া এলাকায় সোমবার রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন পূর্বধলার নাটেরকোনা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ৩৫ বছর বয়সী মুহিত খান ও জালশুকা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ৩০ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেন। তিনি অটোরিকশাচালক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ থেকে আসা অটোরিকশাটি দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। আর দুর্গাপুর থেকে ধান নিয়ে আসা ট্রাকটি যাচ্ছিল ময়মনসিংহের দিকে। পথে পূর্বধলা উপজেলার আতকাপাড়া এলাকায় পেট্রল পাম্পের কাছে যানবাহন দুটির সংঘর্ষ ঘটে। এতে অটোরিকশাচালক আনোয়ার হোসেন ও যাত্রী মুহিত খান ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার এবং ট্রাক ও অটোরিকশা দুটি জব্দ করে।
তিনি আরও জানান, ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
বারহাট্টা
নেত্রকোণার বারহাট্টায় চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রসেনজিৎ দাস নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
উপজেলার স্বল্পদশাল এলাকায় সোমবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো প্রসেনজিৎ পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলী গ্রামের পরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক ফজলুর রহমান জানান, প্রসেনজিৎ সোমবার রাত ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহগামী লোকাল ট্রেনে চড়ে বারহাট্টা উপজেলায় তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। ট্রেনটি তার বোনের বাড়ির কাছাকাছি স্বল্পদশাল গ্রামে পৌঁছলে সে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেয়। তখন ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রসেনজিতের বাবা পরেশ চন্দ্র দাস পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রসেনজিৎ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এর আগে সে কোনোদিন ট্রেনে চড়েনি।