জামালপুরের ইসলামপুরে কলা চুরির অভিযোগে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে ইসলামপুর পৌর শহরের মোশারফগঞ্জ তেঘুরিয়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী ছামিউল ইসলাম, তার ছেলে আজিম ও তাদের লোকজন বাগান থেকে কলা চুরির অপবাদে পলবান্ধা উজানপাড়া গ্রামের কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রকে আটক করেন। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী মাছের খামারে ধরে নিয়ে ঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন তারা।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোমবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় ১৭ বছর বয়সী ওই কলেজছাত্র ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। সে উপজেলার বেলগাছা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার কলেজছাত্র জানায়, ছামিউলের ছেলে আজিম তার সহপাঠী ও বন্ধু। আজিম তার বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে না পেয়ে তাদের বাগানের কলা চুরির পরিকল্পনা করে। সেদিন দুজনে মিলে কয়েকটি কলার কাঁদি নিয়ে যাওয়ার সময় আজিমের বাবা জানতে পারলে আজিম ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ে। ওই সময় ওই কলেজছাত্রকে ধরে ছামিউল পার্শ্ববর্তী মাছের খামারে নিয়ে জানালার গ্রিলে হাত, চোখ বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।
কলেজছাত্র আরও জানায়, আজিম পরিকল্পিতভাবে তার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর বিচার হতে হবে।
ওই কলেজছাত্রের চাচা বলেন, ‘মানুষ এতটা নির্মম হতে পারে জানা ছিল না। ওরা আমার ভাতিজার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে ছামিউলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে তার স্ত্রী জানান, ওই কলেজছাত্র এর আগেও তাদের বাগান থেকে কলা চুরি করেছে এবং সে স্বীকারও করেছে। সেদিনের ঘটনা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীমাংসা করে দিয়েছিলেন, কিন্তু এরপরে কীভাবে কী হলো, তা তারা জানেন না।
এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ওসি সুমন তালুকদার বলেন, ‘ভিডিও দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলবান্ধা এলাকার ছামিউল ইসলামের ছেলে ২০ বছর বয়সী আজিম ও একই গ্রামের সুরুজ্জামান আকন্দের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী ফজলুল রহমান নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’