কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে প্রেরণ করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মারামারি মামলায় শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার পেকুয়া থানা পুলিশের একটি দল কোমরে দড়ি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে ওই ছাত্রকে আদালতে হাজির করেন বলে জানায় তার পরিবার।
চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবির ছাত্র হামিম মো. ফাহিমের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনী এলাকায়। ফাহিমের পরিচালিত পেকুয়া সদরে একটি কোচিং সেন্টার রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার পাশাপাশি ফাহিম একজন শিক্ষক। তার সম্মানের কথা চিন্তা করে এমন আচরণ করা অনুচিত হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
তাদের ভাষ্য, ফাহিমকে আদালতে নেয়ার পথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের মতো তাকে কোমরে বড় দড়ি বেঁধে আদালতে নেয়া হয়েছে।
ফাহিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মারামারি মামলার পরোয়ানায় গত শনিবার রাতে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন রোববার পেকুয়া থানা পুলিশের একটি দল কোমরে দড়ি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তাকে আদালতে হাজির করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ফাহিমের বাবা শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘গত ডিসেম্বরের শুরুতে আমার ছোট ছেলের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। পরে বড় ছেলে ফাহিম বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর প্রতিপক্ষের লোক গোপনে আদালতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করলে ওয়ারেন্ট হয়ে যায়। মামলা, পরোয়ানা—এসবের কিছুই আমরা জানতাম না।’
চকরিয়া অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ফাহিম একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, তার বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা না থাকার পরও এভাবে কোমরে দড়ি বাঁধা ঠিক হয়নি। একটি মারামারি মামলায় এভাবে গ্রেপ্তার করে আগে কখনও দেখিনি। এটা অমানবিক।’
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘নিরাপত্তা বলয়ে আসামিকে থানা থেকে আদালতে নেয়া হয়েছে। আর কিছুই না।’
চকরিয়া সার্কেলের এএসপি এম এম রকীব উর রাজা জানান তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং খোঁজ নিচ্ছেন।