আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রতারণার অভিযোগে শের আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার রাতে কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালের মারছা বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকেলে নোয়াখালী ডিবির ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার শের আলী জেলার কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে।
ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, চট্রগ্রামের হালিশহরে সিএনজি অটোরিকশা চালানোর সুবাদে জেলার হাতিয়া বাজার এলাকার মোবারক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কবিরহাট উপজেলার শের আলীর বন্ধুত্ব হয়।
২০২২ সালের ২২ জুলাই মোবারক মোটরসাইকেল কিনতে শের আলীকে নিয়ে চট্টগ্রাম কাপ্তাই রাস্তার মাথায় একটি মোটরসাইকেল শো-রুমে যান। এ সময় শের আলী মোবারককে মোটরসাইকেল কেনার টাকা তার কাছে রাখার জন্য বললে মোবারক এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১টি স্মার্টফোন শের আলীর কাছে রাখেন। এরপর মোবারক মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রিন্ট করার জন্য অন্য দোকানে গেলে শের আলী মোবারকের টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে নিজ এলাকায় চলে আসেন। পরে বিষয়টি মোবারক নলুয়া জনতা বাজারে এসে স্থানীয়দের জানালে সেখানে সালিশেও বিষয়টির মীমাংসা হয় না।
কয়েকদিন পর চাচা দেলোয়ার হোসেন বিটু শের আলী ও তার ছেলে মারুফ অপহরণ হয়েছে দাবি করে মোবারকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অপহরণ মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে কবিরহাট থানায় মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর কবিরহাট থানা পুলিশ তদন্তে নামে। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত ভার ডিবিকে দেয়া হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কথিত ভুক্তভোগী শের আলী খুবই চতুর ও ধূর্ত। তিনি ঘনঘন মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করায় তার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তার বিভিন্ন মোবাইল নম্বরের কল লিস্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, কখনও কক্সবাজার, কখনও আবার বান্দরবন, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জসহ একেক সময় একেক স্থানে অবস্থান করছেন তিনি।
‘রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে কক্সবাজারে একটি বাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’