তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও পরিচালনা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিক-বান্ধব৷ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এ বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসা দরকার।’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ২৯তম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য অনেক কিছু করার প্রচেষ্টা বর্তমান সরকারের আছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। তিনি আরও ১০ কোটি টাকা দেয়ার কথা বলেছেন।
‘তারপরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু কিছু জায়গা থেকে অপপ্রচার করা হয়। প্রশ্ন তোলা হয় যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত করছে না প্রসারিত করছে?’
আরাফাত বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কাজে পেশাদারত্ব ও স্বচ্ছতা রয়েছে। কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা দেয়ার জন্য সাংবাদিক বেছে নেয়ার প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ ও পেশাদারত্বের সঙ্গে যেন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
‘বাছাইয়ের প্রতিটি স্তরে যেন সাংবাদিকদের প্রতিনিধি থাকেন সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে আমরা পক্ষপাতহীন ও পেশাদার সিদ্ধান্ত দিতে চাই।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্দেশ্যে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন তার বাস্তবায়ন আমরা চাই। সত্যিকার অর্থে যেন সাংবাদিকদের কল্যাণ কাজে ট্রাস্টের অর্থ ব্যয় হয় সেটিই আমাদের চাওয়া।’
সভায় সাংবাদিকদের কল্যাণ অনুদান বরাদ্দের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটিকে এক মাসের মধ্যে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের সময় দেয়া হয়।
এছাড়া দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও মৃত সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের জরুরি শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়।