নাটোরে এক কলেজছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আতিক হাসানকে ডবল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তার তিন সহযোগীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আতিক হাসান, একই এলাকার দুই ভাই সুমন আলী ও টিপু সুলতান এবং আবু জাফর।
সরকারি কৌসুঁলি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, অনেক আগে থেকেই ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী কলেজে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিতেন স্থানীয় যুবক আতিক হাসান ও তার সহযোগীরা, কিন্তু ওই ছাত্রী তার প্রস্তাব প্রত্যাখন করে ঘটনাটি বাড়িতে জানান। এরপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে আতিক হাসান ও তার সহযোগীদের অভিভাবকদের জানানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন আতিক ও তার সহযোগীরা।
তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে উত্তর নারীবাড়ি এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। এ সময় পথে দাঁড়িয়ে থাকা আতিক হাসান, সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফর তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগীর চাচা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আতিক হাসানসহ চারজনের নামে গুরুদাসপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার ১০দিন পর ২০ আগস্ট ভুক্তভোগীকে নাটোর আদালত চত্ত্বরে রেখে গেলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, এরপর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অপহরণ ও ধর্ষণের প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ সাড়ে ৯ বছর মামলার স্বাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, আতিক হাসানের একটা যাবজ্জীবন সাজা শেষে আরেকটা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা শুরু হবে এবং প্রত্যেকের জরিমানার অর্থ পাবেন ভুক্তভোগী।