বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনী সদস্যদের শিগগিরই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে কৌশলগত কারণে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। খবর ইউএনবির
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান তিনি।
সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে চাই না। নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত থাকায় এটি গোপনীয়। তবে উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে, তাদের শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে। তাদের মিয়ানমারে ফেরানোর বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে দুই পক্ষ।’
শুধু বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও বাংলাদেশে রয়েছেন। এর আগে ভারতে ঢুকে পড়েছিল শতাধিক মানুষ, তাদের ফিরিয়ে নিয়েছে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আগমনের বিষয়ে আমরা প্রতি মুহূর্তেই গণমাধ্যমকে জানাচ্ছি। এ নিয়ে লুকোচুরির কোনো সুযোগ নেই।
‘ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক, তা আমরা কখনোই দেখতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে নিরাপত্তা, জলবায়ু ও অবৈধ মাদকসংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ।’
এদিকে, মিয়ানমারের সিত্তেতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেখানকার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে ইয়াঙ্গুনে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
ভারতে সদ্য সমাপ্ত প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘এই সফরে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে যে সম্মান দেখানো হয়েছে, তা দেখে আমি অভিভূত।’
বিএনপি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুরোনো গাড়ি চালু করতে সময় লাগে। বিএনপি একটি পুরোনো গাড়ির মতো। সামান্য নড়াচড়া করার পর থেমে যায়।’
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত হবে ও গণতন্ত্রের পথে চলবে বলেও আশা করেন তিনি। বলেন, ‘আসলে গত জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন এবং তাদের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’