বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বর্বরতায় অভ্যস্তদের মানবিক বাংলাদেশ ভালো লাগবে না: শেখ পরশ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৪:১৯

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। বাংলাদেশের মানুষ যারা একবেলা খেতে পারে না, ছিন্ন কাপড় পরনে, যাদের থাকার জায়গা ছিল না, চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না, শিক্ষাব্যবস্থা ছিল না, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তনই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হব। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না।’

বর্বরতায় অভ্যস্তদের মানবিক বাংলাদেশ ভালো লাগবে না মন্তব্য করে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, নির্বাচন প্রাক্কালে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করে নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বর্বরতায় যারা অভ্যস্ত সেই বিএনপি-জামায়াতের কাছে শেখ হাসিনার মানবিক বাংলাদেশ ভালো লাগবে না, এটাই স্বাভাবিক। এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে জনগণের অধিকার খর্ব করাই বিএনপি-জামায়াতের প্রধান কাজ। আজও তারা এদেশের সাধারণ মেহনতি মানুষের অধিকার হনন করার জন্যই কালো পতাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে চলেছে। আবারও এদেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী দেশে পরিণত করার পায়তারা করছে।

রাজধানীর গাবতলী সিটি কলোনী মাঠে শনিবার বেলা ৩টার দিকে যুবলীগের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এবং সঞ্চালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। বাংলাদেশের মানুষ যারা একবেলা খেতে পারে না, ছিন্ন কাপড় পরনে, যাদের থাকার জায়গা ছিল না, চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না, শিক্ষাব্যবস্থা ছিল না, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তনই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হব। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘তবে এই পথে প্রধান বাধা ওই মনুষ্যত্ব বিবর্জিত স্বাধীনতা বিরোধীচক্র, রাজাকার, আল-বদর, আল শামসদের দোসর, বিএনপি-জামায়াত। ওরা ভয়াবহ সেই আগস্টের রাতের অন্ধকারে জাতির পিতাকে অমানবিক ও নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, ওরা সম্পূর্ণরূপে মনুষ্যত্ব বিবর্জিত হয়ে বিনাবিচারে নারী-শিশু হত্যা করে। মার্শাল-ল ইমারজেন্সি জারি করে বিএনপি নামের তথাকথিত রাজনৈতিক দল গঠন করে। যারা অমানুষের মত গণহত্যা চালিয়ে শত শত মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের হত্যা করেছে।’

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘ওই পশুতুল্য খুনিরা ৩ নভেম্বর জেলাখানায় বিনা বিচারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করেছে। ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৫ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। সম্প্রতি নির্বাচনের আগে আপনারা দেখেছেন, ওরা অগ্নিসন্ত্রাস করে নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যুবলীগ অতন্দ্র প্রহরীর মতো ওদেরকে রাজপথে প্রতিহত করেছে এবং করতে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত এদেরকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করতে না পারি ততদিন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথেই থাকবে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের মানবিক উন্নয়নের ধারা এবং এদেশের মানুষের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার অধিকার রক্ষা করবে।’

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যখন সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আপনাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন তাদের এই সব অপরাজনীতি আপনাদের দুঃখ-কষ্ট বৃদ্ধি করার ফন্দি ছাড়া আর কিছু না।’

ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর আলম শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মোজহারুল ইসলাম, মো. সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল অলম অনিক, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর