শেরপুরে সদরে মোটরসাইকেলে অটোরিকশার ধাক্কায় একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।
সদর উপজেলার তাতালপুর বাজারে শনিবার রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ৩০ বছরের আমির হামজা আনন্দ শেরপুর সদর উপজেলার পৌরসভার চকবাজার মহল্লার এরশাদ আলির ছেলে।
এই দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন মোটরসাইকেল আরোহী সদর উপজেলার পাকুড়িয়ার খলিলুর রহমানের ছেলে ইসমাইল, আল আমিন, অটোরিকশার যাত্রী পৌর শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকার মুরাদ মিয়া ও তার স্ত্রী জেসমিন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, গারো পাহাড় থেকে মোটরসাইকেলে শনিবার রাতে আনন্দ তার শ্যালক ইসমাইল ও আল আমিন শেরপুর শহরে ফিরছিলেন। শহরের তাতালপুর বাজারে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঝিনাইগাতীর একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার সামনে থাকা রড আনন্দের গলায় ঢুকে গুরুতর আহত হন তিনি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রড কেটে তাকে বের করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ও অটোরিকশার দুই যাত্রীসহ চারজন গুরুতর আহত হন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা.ইফরিত আরা ফাগুন আমির হামজা আনন্দকে মৃত বলে জানান। একই সঙ্গে আহত ইসমাইল ও মুরাদকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অপর দুজনকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ইফরিত আরা ফাগুন বলেন, ‘আমরা মোট পাঁচজনকে পেয়েছিলাম। এর মধ্যে আনন্দ নামে একজনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
‘বাকি চারজনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা খারাপ থাকায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি দুইজনকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
শেরপুর সদর থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফন করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।