সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াধানগড়া নতুনপাড়ায় সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান কামাল হোসেনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সয়াধানগড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোর সাড়ে সাতটার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সয়াধানগড়া এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান কামাল হোসেন ও ইমরান হোসেন, যাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন জব্দের কথা জানায় র্যাব।
এর আগে বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কলম সৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ব্রজেশ্বর বর্মন জানান, সাংবাদিকের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি কামাল হোসেন ও আরেক আসামি ইমরান হোসেন। শুক্রবার সকালে নিজ নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেন র্যাব-১২ সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসআই ব্রজেশ্বর আরও জানান, এর আগে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত অস্ত্রধারী গাফফার শেখকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর আছে পুলিশ।
র্যাব-১২ সদর কোম্পানির মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. উসমান গণি স্বাক্ষরিত শুক্রবার সন্ধ্যার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সয়াধানগড়া মাছুমপুর ঈদগাহ মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক আবদুল হামিদের দুই ভাগনে মো. রানা আহমেদ ও ঐশ্বর্য শেখের সঙ্গে আসামিদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরের দিকে সয়াধানগড়া মহল্লার কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের দল রামদা, ছুরি, লোহার রড, লাঠি নিয়ে আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে শক্তির মহড়া দেখায়। তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করে বাসায় ব্যাপক ভাঙচুর করে।
ওই সময় সাংবাদিক হামিদের স্ত্রী সাফিয়া খাতুন, বোন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাহেলা খাতুন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহেলা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয় এবং অস্ত্র উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় রাতে সাংবাদিক আবদুল হামিদ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন।