রাজশাহীতে এক নারীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ ও সেই দৃশ্য ধারণের অভিযোগে তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নগরীর অভিজাত পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে র্যাব-৫-এর সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর হেতেম খাঁন সবজি পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আলমগীর ওরফে রয়েল, তার স্ত্রী ৩০ বছর বয়সী হেলেনা খাতুন, হেলেনার বোন ৩৫ বছর বয়সী দিলারা বেগম এবং তাদের সহযোগী ৪২ বছর বয়সী মমতাজ বেগম।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, রয়েল এবং ভুক্তভোগী নারী একে অপরের পূর্বপরিচিত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কোর্ট স্টেশনের দিকে আসেন ওই নারী। এ সময় তিনি তার মোবাইলট ফোনটি হারিয়ে ফেলেন। রয়েল তাকে মোবাইল ফোন খুঁজে দেয়ার নাম করে পদ্মা আবাসিকে তার ভাড়াবাড়িতে ডেকে আনেন। পরে তাকে জোরপূর্বক শয়নকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সেই দৃশ্য রয়েলের স্ত্রী হেলেনা মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
এরপর ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভিডিও দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন রয়েল ও তার সঙ্গে থাকা ওই তিন নারী।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, ভুক্তভোগী সেখানে তাদের একটি স্ট্যাম্পে সই দিয়ে কোনোমতে ফেরেন। পরে চন্দ্রিমা থানায় এ বিষয়ে মামলা করেন। গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব-৫-এর টিম মামলায় সম্পৃক্ত হয় এবং বৃহস্পতিবার চক্রটিকে আটক করে।
তিনি বলেন, ‘রয়েল দম্পতি প্রায় দুই বছর ধরে এভাবে স্বামী পরিত্যক্তা বা বিধবা নারীদের টার্গেট করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে আসছিল। তাদের বাড়ি থেকে প্রতারণার অনেকগুলো চেক ও জমির দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’