দিনাজপুরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের কর্মসূচি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার প্রতিবাদে সংবাদ বয়কট করেছেন দিনাজপুরের সাংবাদিকরা।
জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খাদ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বয়কট করেন।
তারা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযান পরিচালনার কথা ছিল জেলা খাদ্য বিভাগের। নির্ধারিত সময়ের আগেই তথ্য নিতে সংশ্লিষ্ট স্থানে পৌঁছে যান গণমাধ্যমে কর্মরত জেলার সাংবাদিকরা।
এদিকে নির্দিষ্ট সময় পার হতে থাকলেও কর্মসূচি পরিচালিত না হওয়ায় এ বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা, তবে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি সংশ্লিষ্টরা। অভিযানে যাবেন কি না সেটিও জানানো হয়নি।
বিভিন্ন মিলে অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযানের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে সিএসডি গোডাউন পরিদর্শনে যান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেখানেও সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না দেয়া ও অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে খাদ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন সাংবাদিকরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চালের বাজার নির্ধারণে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাতেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে সাংবাদিকদের ডিসি অফিসের মিলনায়তন থেকে বের দেয়ার অভিযোগ ওঠে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
দিনাজপুর টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ডিসি অফিসের মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা ছিল। সেই সভায় সাংবাদিকদের চিত্র ধারণ ও ভিডিও করার জন্য ১০ মিনিট সময় দেয়া হয়। ১০ মিনিটের পর সাংবাদিকদের বের করে দেয়া হয়। ওই সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি) মোহাম্মদ নুর-এ আলম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদের বের করে দেন।
‘ওইদিন বিকেল ৩টার পর থেকে আমরা রাত ৯টা পর্যন্ত মন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য বাইরে অপেক্ষা করেছি। রাত ৯টার পর মন্ত্রী মাত্র কয়েক মিনিট সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে চলে যান।’
তিনি বলেন, ‘আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সার্কিট হাউজে অভিযানের বিষয়ে জানতে অপেক্ষা করেছি, কিন্তু মন্ত্রী কোথায় যাবেন এ বিষয়ে খাদ্য অফিস আমাদের কোনো তথ্য প্রদান করে নাই। সকাল সাড়ে ৯টায় অভিযানে যাওয়ার কথা থাকলে সাড়ে ১০টার দিকে এলএসডি গোডাউন পরিদর্শনে যান খাদ্যমন্ত্রী। তাই আমরা মন্ত্রীর অনুষ্ঠান বয়কট করেছি।’
এ বিষয়ে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রীর সফরসূচি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার প্রতিবাদে দিনাজপুরের সকল সাংবাদিকরা সংবাদ বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রীর কোনো নিউজ ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং স্থানীয় পত্রিকায় যাবে না।’