বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করলে বা গুজব ছড়ালে সরাসরি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নেই। এটা তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সজাগ।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জাতীয় সংসদকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য চয়ন ইসলামের প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী আরাফাত।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে বসে অপপ্রচার বা অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কর্মকাণ্ড করলে তা প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতা এখনও গড়ে ওঠেনি। তবে এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সজাগ।
‘তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে অপপ্রচারের জবাব তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অচিরেই অপপ্রচার বন্ধে উদ্যোগ নেয়া হবে। দেশ-বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার রোধে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে সরকার। তথ্য অধিদপ্তরের অধীনে ফ্যাক্ট চেকিং কমিটি রয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি প্রশ্নে স্বতন্ত্র সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। হয়তো এসব আইডিতে ইতিবাচকভাবে পোস্টগুলো হচ্ছে। কিন্তু কখনও কখনও তাতে অনিশ্চয়তা থাকে।
‘আমরা বলতে পারছি না সবসময় ইতিবাচক পোস্ট দেবে কী না। কাজেই এটা জানা খুবই জরুরি যে কোন উৎস থেকে এটা খোলা হয়েছে। এ ধরনের কোনো অ্যাকাউন্ট অনুমতি ছাড়া খোলা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো বন্ধ করার সক্ষমতা তথ্য মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা এগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখব। স্বরাষ্ট্র, আইন ও আইসিটি বিভাগের সমন্বয়ে এর মাধ্যমে একটা সমাধান বের করবো।’
প্রতিমন্ত্রী আরাফাত সংসদকে বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে গুজব প্রতিহত এবং ডিস-ইনফরমেশনকে আটকে দেয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আইন, স্বরাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। আমরা ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, শিগগির একটি জায়গায় পৌঁছতে পারব। উদ্দেশ্য, দেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ হয় আবার মিস-ইনফরমেশনকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা যায়।’