ময়মনসিংহের সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বাহিনীটি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ৬০ হাজার ৮৬১ টাকা, ৪৩টি মোবাইল ও চাঁদা আদায়ের বিপুল পরিমাণ রসিদ উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সদরদপ্তর থেকে বুধবার রাত ১০টার দিকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. হারুন, মো. লাল মিয়া, মো. সেলিম, মো. লৎফর রহমান, মো. বাদল, মো. শামিম হোসেন, মো. হৃদয় মিয়া, বকুল চন্দ্র সরকার, মো. শাহজাহান সাজু, বকুল চন্দ্র সরকার, মো. জনি, মো. সোলেয়মান, মো. মাসুদ, মো. আইনুল ইসলাম, মো. ইকবাল, মো. মোস্তফা, মো. আবু সাঈদ, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আবদুর রহমান, মো. সিদ্দিক, মো. ময়েন মিয়া, মো. রায়হান, মো. আলমগীর, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. জনি, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ফয়সাল, মো. জিয়া উদ্দিন, মো. সুমন মিয়া, মো. ফিরোজ মিয়া, মো. সিরাজ, মো. কামাল হোসেন, মো. ইয়াছিন মিয়া, মো. সোহাগ মিয়া, মো. রফিক মিয়া, মো. খাদিমুল ইসলাম, মো. লাল মিয়া, মো. শাহজাহান কবির, মো. আবদুল হাই, মো. নুরুল আমীন, মো. শামিম হোসেন, মো. জাল্লাল উদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. কাওছার হোসেন, মো. হুদয়, মো. সামিদুল ইসলাম, মো. হাবিব মিয়া, মো. রাসেল ও মো. হৃদয়।
তারা ময়মনসিংহ সদর, তারাকান্দা, মুক্তাগাছা ও গৌরীপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সদরদপ্তরের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতি রাতে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপর অবস্থান নিতেন। তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী যানবাহন ময়মনসিংহে প্রবেশের সময় লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে চালকদের কাছে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করতেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রসিদ চালকদের দিয়ে থাকেন। চালকরা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর, চালক-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, চাঁদাবাজরা প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন থেকে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ চক্র ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে। চাঁদাবাজদের নামে মামলা করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।