ফেনী সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২৩ বাংলাদেশি যুবককে সে দেশে থানা পুলিশে দিয়েছে বিএসএফ।
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীটির পক্ষ থেকে ওইসব বাংলাদেশিকে চোরাকারবারি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএসএফের পক্ষ থেকে বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফেনীস্থ ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বিএসএফ জানিয়েছে যে আটককৃত ২৩ বাংলাদেশিকে মঙ্গলবার স্থানীয় মনু বাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল চেক-আপসহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পরবর্তীতে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বিজিবি অধিনায়ক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে গত দুদিনে দুই দফা বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত বৈঠক হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আটককৃতরা যখন ছাড়া পাবেন তখন তাদের বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে বিষয়টি আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেনীর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকায় এক ব্যক্তিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে- এমন গুঞ্জন শুনে স্থানীয়রা খবর নিতে সেখানে ছুটে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া শুরু করে। ধাওয়ার মুখে অনেকেই পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও সেখান থেকে ২৩ জনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
তারা হলেন- ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন, রাইসুল ইসলাম, সামিন, হারুন, লিটন ও মাঈন উদ্দিন; রাধানগর এলাকার মহসিন, কাজী রিপন, তাজুল ইসলাম সাকিল, হানিফ, আবুল হাসান, ইমরান, রুবেল, জাফর ইমাম মজুমদার, ওবায়দুল হক, জামাল উদ্দিন, আরিফ হোসেন ও করিম; ছাগলনাইয়ার মটুয়া এলাকার খোরশেদ, আজাদ হোসেন, মাহিম, হারুন ও ইমাম হোসেন।
এ বিষয়ে ফেনীস্থ ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা মঙ্গলবার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে চোরাকারবারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএসএফ।
‘তখন আটককৃতদের একটি তালিকাও তাদের পক্ষ থেকে বিজিবিকে সরবরাহ করা হয়েছে। এরপর আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র আমাদের হাতে পৌঁছান তাদের আত্মীয়-স্বজনরা।’