মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও একজন সদস্য কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে সংঘাতপূর্ণ প্রতিবেশী দেশটি থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৮ জন।
বুধবার দুপুরে নতুন করে ৬৩ জন বিজিপি সদস্য হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করেন। সবশেষে সন্ধ্যায় এসেছেন আরও একজন। এ নিয়ে একদিনে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ৬৪জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার পর্যন্ত বান্দরবান ও কক্সবাজারের সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে ২৬৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তাদের মধ্যে একাধিক সদস্য গুলিবিদ্ধ।
সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মিডিয়া সেল থেকে বুধাবর সন্ধ্যায় দেয়া এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
নতুন করে করে মিয়ানমার থেকে একজন প্রবেশ করায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের ৩২৭ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
টেকনাফ ২-বিজিবি ব্যটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিজিপির আরও একজন সদস্য হোয়াইক্যং সীমান্তে দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় এপারে ঢুকে পড়েন।
সীমান্ত দিয়ে যেসব বিজিপি সদস্য ঢুকেছেন তাদের হোয়াইক্যং সীমান্ত ফাঁড়িতে আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলে জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।
গত কদিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপের বিকট শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠেছে সীমান্তবর্তী এলাকা। মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া বুলেট ও মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে বসতবাড়িগুলোতে।
এতে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ছে। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। কৃষিসহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে যেতেও ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। এরই মধ্যে সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন।