বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন ভালো হবে: ইসি আলমগীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৭:২২

ইসি আলমগীর বলেন, ‘ইতিহাস বলে, স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি হয়। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক অংশগ্রহণ থাকে, যার কারণে ভোটের মাঠে অটোমেটিক ব্যালেন্স তৈরি হয়। সেখানে আমরা এফোর্ট দিলে সুষ্ঠু ভোট হবে বলে মনে করি।’

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগাঁরগাও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে করেছি, উপজেলা নির্বাচন তার চেয়ে ভালোভাবে করব। কারণ জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে ৩০০ আসনে করতে হয়েছে। আমাদের ৩০০ জায়গায় একসঙ্গে ভোটগ্রহণ করতে হয়েছে। আমরা এখানে কমপক্ষে ৪ ধাপে করব। প্রতি ধাপে ১০০ বা এর কাছাকাছি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের এফোর্ট (চেষ্টা) বেশি থাকবে।

‘আশা করি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ইতিহাস বলে, স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি হয়। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক অংশগ্রহণ থাকে, যার কারণে ভোটের মাঠে অটোমেটিক ব্যালেন্স তৈরি হয়। সেখানে আমরা এফোর্ট দিলে সুষ্ঠু ভোট হবে বলে মনে করি।’

আইনের সংশোধনী নিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের আচরণবিধিতে কিছু কিছু অসঙ্গতি ও অস্পষ্টতা আছে। সংশোধনের জন্য সেগুলো পর্যালোচনা করছে নির্বাচন কমিশন।’

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারি না। কারণ, এখনও নির্বাচনের শিডিউল (সময়সূচি) ঘোষণা করা হয়নি। যেহেতু সিডিউল ঘোষণা হয়নি, আর তারা আসবেন কি আসবেন না- তা বলেননি, তাই অগ্রিম কিছু বলা যাচ্ছে না।’

দলীয় প্রতীকে ভোট না হলে অংশগ্রহণমূলক ভোট হতে যাচ্ছে কি না- প্রশ্নে তার জবাব, ‘রাজনৈতিক বিশ্লেষক যারা আছেন, বিষয়টি তারা ভালো বলতে পারবেন। আমরা আশা করছি, যারা যোগ্য প্রার্থী, যাদের জনসমর্থন রয়েছে, তারা নির্বাচন অংশগ্রহণ করলে একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন যাতে হয়, সে চেষ্টা আমরা করব।’

বিএনপির কি তাহলে কোনো জনসমর্থন নেই, এর কারণেই কি তারা ভোটে আসে না- প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের আহ্বান হলো, যাদের জনসমর্থন আছে বলে মনে করেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।’

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে, ঘোষণার পর কেন মনে হলো যে, আইন সংশোধন করা দরকার? নাকি সরকার এমনটি চাইছে?- এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে কোনো আইন সংশোধন করতে চাইনি। আচারণ বিধিমালায় কিছু কিছু জায়গায় অসঙ্গতি আছে, কিছু অস্পষ্টতা আছে। এগুলো যারা প্রয়োগ করতে চান, তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন। সেই ফিডব্যাকের পর এগুলো পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।

‘আচারণবিধিমালা শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন সংশোধন করতে পারে। তবে এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের একটা বেটিং লাগে। সেটা পেলে আমরাই জারি করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক শতাংশ ভোটারের সাক্ষর। এ বিষয়ে সচিবালয় হয়তো ফিডব্যাক পেয়েছে, আবার এতে অনেকে নাও করেছে; মিশ্র মতামত আছে। তবে এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।’

এ বিভাগের আরো খবর